খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে শপথ বিএনপির




স্বাধীনতা দিবসে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারারুদ্ধ নেতা-কর্মীদের মুক্ত করতে আন্দোলনের শপথ নিয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই শপথের কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে খালেদা জিয়াসহ কারাগারে থাকা সব নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্ত করার জন্য আমরা আন্দোলনের শপথ গ্রহণ করছি।’
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে বেলা ১১টা নাগাদ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এক হন। একপর্যায়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের কথা—আজকে এত দিন পরও আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে হচ্ছে একটা কারাবরণের মধ্য দিয়ে। আজকের এই স্বাধীনতা দিবসে দেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্রপ্রহরী, দেশের গণতন্ত্রের মাতা কারারুদ্ধ হয়ে আছেন।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র করে খালেদা জিয়াসহ দল ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারসহ সব অধিকার হরণ হয়ে গেছে।
মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচন-রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন করব।’
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, জয়নাল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।